fanbase

যারা নতুন শুরু করেছো এবং কোথা থেকে কীভাবে শুরু করা উচিৎ সেটা বুঝতে পারছো না তারা এই লিংক থেকে নোটটি দেখে নাও। এটি কাজ করার কথা :3

Our Objectives





আমরা সবাই জানি, বর্তমান পৃথিবী অনেকটাই প্রযুক্তিনির্ভর। আর এই পৃথিবীতে টিকে থাকতে গেলে আমাদেরকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। আর এক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার এবং প্রোগ্রামিং জানাটা একরকম আবশ্যক ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে তার মানে এই না যে সবাইকে অসাধারণ প্রোগ্রামার হতে হবে। সবার প্রোগ্রামিং,গনিত, বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা থাকা উচিৎ। আর তাই প্রোগ্রামিংয়ের সকল শাখা সবার জন্য নয়। প্রোগ্রামিংয়ের কিছু কিছু শাখা আছে যেগুলোতে দক্ষ হতে গেলে একজন মানুষকে গনিত, বিজ্ঞান ভালো করে জানতে হবে, অনেক সময় ধরে অধ্যবসায় করতে হবে। এরকম একটি শাখার নাম হচ্ছে কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং । এটি শিখতে যেমন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হয়, তেমনি জানতে হয় গণিত, জ্যামিতি, ডাটা স্ট্রাকচার, অ্যালগোরিদম আরো অনেক কিছু। সত্যি কথা বলতে এই জিনিসগুলো শেখার জন্য ইন্টারনেটে যথেষ্ট রিসোর্স আছে। কিন্তু দু:খের বিষয় হলো এই জিনিসগুলো নিয়ে বাংলায় রিসোর্স খুব কম। চাইনিজ, রাশিয়ান ছেলেমেয়েরা এসব বিষয়ে ভালো করে কারণ তাদের ভাষায় রিসোর্স অনেক বেশি। বাংলাদেশ ওইসব দেশের থেকে এখনো পিছিয়ে আছে। আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হলে দেশের নবীন ছেলেমেয়েদেরকে এই জিনিসগুলো শেখাতে হবে। আর সেটা করার জন্য সবথেকে ভালো হয় যদি জিনিসগুলো বাংলায় পাওয়া যায়। কারন একজন বাঙালি বাংলা ভাষায় একটি জিনিস যত তাড়াতাড়ি শিখতে পারে, অন্য ভাষায় হলে তত তাড়াতাড়ি শেখা সম্ভব হয় না। আমাদের এই ব্লগ খোলার একটা বড় উদ্দেশ্য হলে বাংলা ভাষায় রিসোর্স বাড়ানো। আবার অন্য দিকে চিন্তা করলে দেখা যায় এই টপিকগুলো ইন্টারনেটে একদম ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় আছে। একজন নতুন প্রোগ্রামার কোনটির পর কোনটি শিখবে এটি নিয়েই সে চিন্তা করে কুল পায় না। আর এজন্য দেখা যায় একটা রাশিয়ান ছেলে বা মেয়ে ১ বছরে যেটুকু শিখতে পারে, আমরা ৪ বছরেও তা শিখতে পারিনা। এটা বাংলাদেশের প্রায় সবার সাথেই হয়। আমার নিজের কথাই বলি, আমি যখন প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করলাম, প্রথম ৩-৪ মাস লেগে গেছে শুধু C ল্যাঙ্গুয়ের শিখতেই। প্রতিদিন অনেক সময় দেয়ার পরেও দেখা যেত কিছুই শিখতে পারিনি। কারন একটাই, কি করতে হবে তাই তো জানি না ! প্রথম এক মাস আমার এভাবেই কি শিখবো সেটা চিন্তা করতে করতেই চলে গেল। এরপর NHSPC অনুষ্ঠিত হলো, আমি টাঙাইলে অষ্টম হই প্রোতিযোগিতায়। টাঙাইল থেকে সেবার ৮ জন কে জাতীয় পর্যায়ে প্রোতিযোগীতার জন্য পাঠানে হয়েছিল, যার মানে আমি ছিলাম সর্বশেষ! রিজিওনালের পর ভার্সিটির এক ভাইয়ার কাছে শুনলাম URI Online Judge এর বিগিনার সেকশনে নতুনদের অনুশীলন করার জন্য খুব ভালো। এর আগে আমি কোনো অনলাইন জাজের কথা কখনো শুনিনি। এরপর জাতীয় প্রোতিযোগিতার আগে ২ মাস সময় পেয়েছিলাম, আর ওই ২ মাসের মধ্যে আমি প্রায় ১০০ এর বেশি সমস্যা সমাধান করেছিলাম। যার ফলে খুব বেসিক সমস্যাগুলো সমাধান করার ক্ষমতা তৈরি হয়ে গিয়েছিল আমার। জাতীয়তে ২ টা প্রব্লেম সল্ভ করে ক্যাম্পে চান্স পাই। আর সত্যি কথা বলতে ওই ক্যাম্প আমার জীবন বদলে দিয়েছিল। আমি ওই ক্যম্প থেকে সবথেকে বেশি জিনিস শিখেছিলাম। আমাদের ক্যাম্পে কোথা থেকে আর কীভাবে শিখতে হবে সেটা শেখানো হয়েছিল। আর সেটাই অসাধারণভাবে কাজে লেগেছে। আমি পরবর্তী মাসেই অনেক নতুন জিনিস শিখে ফেলতে পেরেছিলাম, যা আমি আগের ৪ মাসেও শিখতে পারিনি। আর ওই ক্যম্পে গিয়ে আমার তাসমীম ভাইয়া, রেজুয়ান ভাইয়া, রুহান হাবীব ভাইয়া, নির্ঝর ভাইয়া, মামনুন সিয়াম, আরমান সহ বাংলাদেশের সকল সেরা সেরা জুনিয়র প্রোগ্রামারের সাথে পরিচয় হয় এবং আমি তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছিলাম। তার সাথে আমি যে জাতীয় প্রতিযোগিতার আগের ২ মাস ১০০ টার বেশি বিগিনার প্রব্লেম সল্ভ করে নেহায়েত সময় নষ্ট করেছি সেটাও বুঝতে পেরেছি। কারণ সত্যি কথা বলতে আমি ওই সমস্যা গুলো সমাধান করতে পারতাম। আর করতে পারার পরেও আমি ওগুলোই সমাধান করে যাচ্ছিলাম। যেজন্য আমার দক্ষতা বাড়ছিল না। ক্যাম্পে গিয়ে এরকম অনেক জিনিস ভাইয়াদের কাছ থেকে বা স্যারদের কাছ থেকে শিখেছি, যে জিনিসগুলো না জানলে যে কেও ভুল যায়গায় ফোকাস করে সময় নষ্ট করবে। আমরা চাই না তোমরা কেও ভুল যায়গায় মনোযোগ দিয়ে সময় নষ্ট করো। আর এজন্যই আমরা এই ব্লগে জিনিসগুলো ওইভাবে তুলে ধরবো যাতে তোমাদের সমস্যা না হয়। এই ব্লগটি আমরা এমনভাবে সাজানোর চেষ্টা করবো যাতে তোমরাও খুব সহজেই দরকারি জিনিসগুলো শিখে ফেলতে পারো। আমি আর মুনিম হাসান ওয়াসি ভাইয়া দুজনেই NHSPC 2017 এর ন্যাশনাল ক্যাম্প করেছি আর সেখান থেকেই আমাদের পরিচয়। আমি আর ভাইয়া লক্ষ্য করেছি বাংলাদেশের তরুন প্রজন্মের একটা অনেক বর অংশ প্রোগ্রামিং,গনিত,মেশিন লার্নিং ইত্যাদির নিকে ঝুঁকে যাচ্ছে, যার থেকে আনন্দের সংবাদ আর কিছুই হতে পারেনা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমরা এটাও খেয়াল করছি সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবের কারনে বেশিরভাগ ছেলেমেয়েই ভুল দিকে ফোকাস করছে, যে কাজটি আমরাও করেছি বারবার। আর ওই ভুলগুলো করতে করতে আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। হয়তো একটা কাজ একভাবে করার পর বুঝতে পেরেছি কাজটা এভাবে না করলে ওভাবে করলে আরও ভালো হতো। তোমাদের যেন এই সমস্যাগলোর মধ্যে না পড়তে হয়, তার জন্যই ব্লগটি সাজিয়ে নিচ্ছি আমরা। আমরা যদি ক্যম্পটি না পেতাম, তাহল সারা জীবনেও হয়তো জানতে পারতাম না কোথা থেকে কীভাবে কী কী শিখতে হবে। আর হয়তো সারাজীবন বিগিনারই থেকে যেতাম। ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশ-ভারত উপমহাদেশের মানুষের বুদ্ধি বা চিন্তা করার ক্ষমতা অন্য অনেক দেশের মানুষের থেকে অনেক বেশি, শুধু আমাদের যে জিনিসটি লাগবে সেটি হচ্ছে সঠিক দিক নির্দেশনা। শুধু মাত্র সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারলেই সত্যি কথা বলতে আর কিছুই লাগবেনা। আলাদিনের দৈত্যের যাদুর মতো দেশ হুট করে কোন দিক দিয়ে উন্নত হয়ে যাবে আমরা বুঝতেই পারবোনা! আর আমরা শুধু এ কাজটুকুই করতে চাচ্ছি। আর আশা করি এটুকুই যথেষ্ট! আশা করি আমাদের সাথেই থাকবে এবং প্রোগ্রামিঙয়ে ভালো করবে এবং অবশ্যই আমাদের দেশকে নিয়ে চিন্তা করবে। সবার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নিগেটিভ হোক। ধন্যবাদ সবাইকে। 😃